৭ই আগষ্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবসে পাড়ি দিল প্রকৃতির রানী অপরূপ সৌন্দর্য ভান্ডারে পরিপূর্ণ মুকুট মণিপুরের উদ্দেশ্য
"ব্রহ্ম হ'তে কীট পরমাণু সর্বভূতে সেই প্রেমময় মন প্রাণ শরীর অর্পণ, করে সখে এ সবার পায় বহুরূপে সম্মুখে তোমার, ছাড়ি কোথা খুঁজেছি ঈশ্বর জীবে প্রেম করে যে জন সেজন সেবিছে ঈশ্বর।" অর্থাৎ, ভারতীয় সাধনার চরমতম কাম্য হইতেছে ঐ স্বরূপ উপলব্ধি- সর্বত্রই ব্রহ্ম দর্শন।আর এই ব্রহ্ম দর্শন জীব সেবার অগ্রবর্তী পর্যায় হল কর্ম,কারন কর্ম ছাড়া কোন কিছুই সম্পন্ন বা সম্পাদন করা সম্ভব নয়। তাই কর্মের মধ্যে দিয়ে আনন্দ লাভের উদ্দেশ্যে সৌষ্ঠবের কর্মীদের যাত্রা। প্রাচীন বঙ্গভূমির বর্তমান নাম পশ্চিমবঙ্গ।এই বঙ্গদেশের রাঢ় অঞ্চলে বহু প্রাচীন বসবাসকারী জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে হল সাঁওতাল, আদিবাসী, ও কৈর্বত প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মানুষ। সেই প্রাচীন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের শিক্ষা,সভ্যতা, সংস্কৃতিকে মূল স্রোতের মধ্যে প্রস্ফুটিত করে তোলার জন্য সৌষ্ঠবের কর্মীবৃন্দরা ৭ই আগষ্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবসে পাড়ি দিল প্রকৃতির রানী অপরূপ সৌন্দর্য ভান্ডারে পরিপূর্ণ মুকুট মণিপুরের উদ্দেশ্য। যেখানে কাঁসাই কংসাবতী নদী যার প্রাচীন নাম ছিল কপিশা।এবং এই নদীটি প্রাচীন কালে এটি কলিঙ্গ ও মগধ রাজত্বের সীমা ছিল। এবং মুকুট মণিপুরে প্রায় ১০০০ বছরে পুরানো সারেঙ্গগড় নামে এক জৈন রাজধানী জলের তলায় নিমজ্জিত ছিল বর্তমানে তা সরিয়ে নিয়ে পাহাড়ের ওপর জৈন মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া এই মুকুট মণিপুরে প্রধান বৈশিষ্ট্য আমাদের পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ বিধান চন্দ্র রায় প্রথম ১৯৫৬ সালে ৮০০০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে চওড়া মাটির বাঁধ জলাধার নির্মাণ করেন। সেই ইতিহাস মন্ডিত ও সৌন্দর্য মুখরিত মুকুট মণিপুর কেন্দ্রিক গোড়াবাড়ি গ্রামে ৬৭২ জন অসহায় দুঃস্থ শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের হাতে কেক, বিস্কুট, মিষ্টি,কাপড়, বাচ্চাদের জামা, বৃদ্ধদের পাঞ্জাবী তুলে দেওয়া হল ঠাকুর ও মায়ের কৃপাতে।











Copyright © 2023 Sousthab
Developed by Priyadarshan Ghosh